ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৬৩

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার দাবি 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:০৬ ৩০ জুন ২০২০  

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে করোনা মহামারির মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যখাত ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে জাতীয় সংসদে।

 মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিরোধী দলের একাধিক সাংসদ স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থা তুলে ধরেন। তাঁরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন। কেউ কেউ মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ারও দাবি তোলেন।


 জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘সাবেক-বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যাঁরই হোক, অসুখ হলে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। প্রধানমন্ত্রী, আপনি একটা নির্দেশনা দেন। এমপি, মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করবেন। জরুরি প্রয়োজন না হলে বিদেশ যাবে না। তাহলে উন্নতি হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে মুজিবুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টা খবর রাখছেন। কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তো একবার ঢাকা মেডিকেলে, একবার সোহরাওয়ার্দী, একবার জাতীয় হৃদ্‌রোগ হাসপাতালে কিংবা পিজিতে ভিজিট করা উচিত ছিল। আমি সেখানে এমনিতেই গেছি। ডাক্তাররা বলছেন, এখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এলে আমরা অনুপ্রাণিত হতাম।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘৩ মার্চ স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বললেন, বাংলাদেশের যে আর্দ্রতা, গরম, করোনা বাংলাদেশে আসতে আসতে মরে যাবে। কোনো সমস্যা হবে না। আবার ২৫ জুন সেই একই ব্যক্তি বললেন, করোনা দুই থেকে তিন বছরে যাবে না। এগুলো দেখা প্রয়োজন।’ 

বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘করোনায় মারা যাবে। সারা পৃথিবীতে যাচ্ছে। কিন্তু কতটুকু চিকিৎসা দিতে পারছি, এটাই বড় প্রশ্ন? দেশে সেই চিকিৎসাই নেই।’ বাংলাদেশে সংক্রমণ হার অনেক বেশি। ‘নমুনা পরীক্ষার ২৩ শতাংশ পজিটিভ আসছে। তাও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ১৫ দিন পর। এতে ঝুঁকি আরও বাড়ছে।’ 

জাতীয় পার্টির সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, বেসরকারি অনেক হাসপাতালে ডাক্তাররা ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন। বেতন পান ২০ হাজার টাকা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাগাম টানতে না পারলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা দাঁড় করানো যাবে না।

পীর ফজলুর রহমান  এমপি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি তুলে ধরে বলেন, ‘৩৭ লাখ টাকার পর্দার কথা শুনেছি। ডাক্তারদের ২০ কোটি টাকার খাওয়ার বিল এসেছে। সেখানে একটি কলার দাম ২ হাজার টাকা। একটা ডিমের দাম এক হাজার টাকা। রুটির এক স্লাইসের দাম তিন হাজার টাকা। কয়েক দিন আগে দেখেছি কিট কেনার দুর্নীতির কারণে জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানুষ বলছে, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মিনা কার্টুনে পরিণত হয়েছে। টিয়া পাখি দ্বারা চলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর